চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর ১নং ওয়ার্ড এলাকায় জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার চাগাচর চরপাড়ার মরহুম হাবিবুর রহমানের পুত্র আবদুল মালেক (৫৪) তার নিজের জায়গায় ঘিরাবেড়া দেয়ার কাজ করছিলেন।
ঐদিন বিকেল ৩টার দিকে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে তাতে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তারা মারধর শুরু করে।
এসময় তাকে বাঁচাতে তার বড় ভাই আবদুল মাবুদ (৬০), ভাইয়ের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), ভাতিজি জয়নাব বেগম (১৫) ও ভাগিনা মো. ইলিয়াছ (২৩) এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়।
হামলার সময় প্রতিপক্ষরা আবদুল মালেকের কোমরের সিলিং ব্যাগে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও লায়লা বেগমের গলায় থাকা প্রায় ৩৫ হাজার টাকা দামের ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এসময় তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। আহতদের দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবদুল মালেক বাদি হয়ে আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) একই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর পুত্র আমিনুল হক(৪৫)কে ১নং আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল হালিম বলেন, “এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে তদন্ত কেন্দ্রে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।” এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।