সাতকানিয়ায় ছিটকে পড়ল ১০টি গাড়ি

মহাসড়কের কাদামাটি বৃষ্টিতে পিচ্ছিল

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

বৈশাখের তীব্র গরমে এক পশলা বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশ। জমে থাকা কাদা মাটির প্রলেপের উপর গতকাল শনিবার বৃষ্টি পড়লে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে সড়কটি। এতে অন্তত ১০টি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। পিচ্ছিল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে সড়কের উপর ঘুরে গেছে কিছু গাড়ি। আবার কয়েকটি গাড়ি ছিটকে পড়েছে খাদে। তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। গতকাল সকালে বৃষ্টি হওয়ার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, আমন ধান কাটার পর মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোতে ট্রাকযোগে আবাদি জমির মাটি আনা হয়। সড়কের মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত এলাকায় প্রতিদিন মাটি বহনের কাজে ব্যবহৃত হয় কয়েক শত ট্রাক।
এছাড়া মৌলভীর দোকান থেকে আঁধার মা’র দরগাহ পর্যন্ত এলাকায় সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের বিলগুলো থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হয়। ট্রাকযোগে এসব মাটি ইটভাটায় নেয়ার সময় কিছু কিছু কাদা মাটি সড়কের উপর পড়ে। এছাড়া নির্মাণাধীন রেল লাইন ভরাটের মাটিও মহাসড়ক দিয়ে বহন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এভাবে সড়কের বিটুমিনের উপর মাটির প্রলেপ তৈরি হয়েছে। ফলে মাটির প্রলেপের উপর বৃষ্টি পড়ার সাথে সাথে পুরো সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। কেঁওচিয়ার বাসিন্দা ট্রাক চালক জামাল উদ্দিন বলেন, সকালে বৃষ্টির পর আঁধার মা’র দরগাহ থেকে মৌলভীর দোকান পর্যন্ত এলাকায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইভেটকারসহ ১০টির অধিক গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। বৃষ্টির পর পুরো সড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। সড়কের বিটুমিনের উপর থাকা কাদা মাটির প্রলেপ তুলে না নিলে আগামীতে আরো বেশি দুর্ঘটনা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব মাটির প্রলেপ তুলে নেয়া দরকার।
সাতকানিয়া ইটভাটা মালিক সমিতির সেক্রেটারি মো. ফরিদুল আলম বলেন, আঁধার মা’র দরগাহ এলাকায় অতীতেও সড়ক পিচ্ছিল হয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আঁধার মা’র দরগাহর পশ্চিম পার্শ্বে থাকা বিল থেকে মাটি না কাটার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছিল। সেই বিল থেকে কেউ মাটি কাটলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। মানুষের ক্ষতি করে আমাদের ব্যবসার দরকার নাই।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্মাণাধীণ রেল লাইন ভরাটের কাজে ব্যবহৃত তমা গ্রুপের ট্রাকগুলো মহাসড়কের উপর দিয়ে চলাচল করে। তাদের গাড়ি থেকেও সড়কের উপর কাদা মাটি পড়ে। এ বিষয়ে তাদেরও সর্তক হওয়া দরকার।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি আবদুর রব বলেন, বৃষ্টিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা আওয়ামী লীগের
পরবর্তী নিবন্ধব্যতিক্রম কিছুর জন্য অপেক্ষা হালদা পাড়ে