বাঁশখালীর গন্ডামারায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে গতকাল সকালে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান।
গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন গন্ডামারায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহম্মেদ, কলকারখানা অধিদফতর চট্টগ্রামের লেবার পরিদর্শক মাসুদ রানা ও বিদ্যুৎ বিভাগ চট্টগ্রামের সহকারী প্রধান প্রকৌশলী অভিজিৎ কুরি। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ জন নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেনকে। এছাড়া অন্য দুজন হলেন পুলিশ সুপার নেছার আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির হোসেন। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আজাদীকে বলেন, ঘটনা সম্পর্কে একেকজন একেক কথা বলছে। শ্রমিকরা এক কথা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আরেক কথা বলছে। এদিকে পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন। আমরা পুরো ঘটনাটি অনুসন্ধান করার জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। প্রতিবেদন পেলেই আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিল। এর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত হওয়ার জন্য বলেছি। শ্রমিকদের কথা শুনেছি। শ্রমিক, পুলিশ এবং মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। মালিক পক্ষকে বলেছি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। পরিস্থিতি শান্ত করে দিয়ে এসেছি।
রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চললেও মামলা হয়নি বলে থানা সূত্রে জানা যায়।