দরিদ্র ও ভিক্ষুকরা ত্রাণ পায়। তাছাড়া সহজেই তারা কারো কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের জীবন এত সহজ নয়, তারা উপোস থাকে তবুও অন্যের কাছে সহজে হাত পাততে যায় না। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারই শাক সব্জি বিক্রি করে। ভূসিমাল বিক্রি করে, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি চালিয়ে গ্রামগঞ্জে মানুষ খেতে-খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এসব মাধ্যমই তাদের একমাত্র অবলম্বন। লকডাউনে তাদের এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ফলে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। গত বারের লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ধনীদের দানে মধ্যবিত্তের তুলনায় গরিবরা মোটামুটি ভালো থেকেছে। তাছাড়া দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেক মধ্যবিত্তই গরিবদের কাতারে চলে এসেছেন। এ অবস্থায় মধ্যবিত্তের খাবার নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাকিব আল হাসান, ১৪নং শিকারপুর ইউনিয়ন
নজুমিয়াহাট, চট্টগ্রাম।