বাঁশখালী পৌরসভার লস্কর পাড়া এলাকায় প্রবাসী পুত্রের হামলায় বয়োবৃদ্ধ পিতা আবুল কাশেম (৮৬) ও মাতা
ছলিমা খাতুন (৭৫) গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় পুত্র এনায়েত উল্লাহকে আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে গুরুতর আহত আবুল কাশেম বাদী হয়ে পুত্র ও পুত্রবধূকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের লস্কর পাড়া এলাকায় প্রবাসীপুত্র এনায়েত উল্লাহ’র সাথে বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সৌদি প্রবাসী এনায়ত উল্লাহ লাঠি দিয়ে তার মা ছলিমা খাতুনকে মাথায় আঘাত করলে তার মাথা পেটে যায় এবং বাবা আবুল কাশেমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদের শোরচিৎকারে এগিয়ে এসে রক্তাক্ত ও আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বাবা আবুল কাসেম বাদী হয়ে এনায়েত ও তার স্ত্রী রুমাকে আসামি করে অভিযোগ করলে রাতে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের গেট থেকে এনায়েত উল্লাহকে আটক করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, বাবা-মাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের গেট থেকে এনায়েত উল্লাহকে আটক করে।
হাটহাজারী : এদিকে বাংলানিউজের খবরে বলা হয়, হাটহাজারী উপজেলার নতুন পাড়ায় ছেলে মো. শফিউল দা দিয়ে কুপিয়ে বাবা মো. কামাল (৮০) গুরুতর আহত করেছে। গতকাল শুক্রবার মৌলভি আকমলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মো.কামাল একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
কামালের নাতি জয়নাল আবেদিন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে মো. শফিউলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা হচ্ছে দাদার সঙ্গে। গত বছর ঈদের সময় একবার দাদাকে মারধর করা হয়েছিল। তখন সামাজিকভাবে মো. শফিউলের বিচার হয়েছিল। আজ (গতকাল) ইফতারের সময় দাদার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দাদাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, দা দিয়ে কোপানো একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাকে ২৮ নম্বর নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।