করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনে দেশ। রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকায় যানবাহনসহ যাত্রীদের দৌরাত্ম্য দেখা মিললেও চট্টগ্রামে কিছু প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা ছাড়া তেমন যানবাহন ছিল না। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউন সফল করতে নগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলার বিপরীতে ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরীতে লকডাউনে প্রথম দিনের মতো নিয়ন্ত্রণে ছিল দ্বিতীয় দিন। এ দিন কিছু কিছু ব্যক্তি অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। মাস্ক না পরে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেছেন। জরুরি ছাড়া গাড়ি বের করেছেন। সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে দোকান খোলা রেখেছেন। যার কারণে নগরজুড়ে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৪২টি মামলা দিয়ে ৪২ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা। তিনি ৬টি মামলায় ৩১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ ও গালিব চৌধুরী পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি মামলায় ৬১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ অধিকাংশ সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও হুছাইন মোহাম্মদ। পৃথক অভিযানে তারা দুজনে ১৬টি মামলায় ২০ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এছাড়া খুলশী, বায়েজিদ, চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ ও সুরাইয়া ইয়াসমিন। পৃথক অভিযানে তারা দুজন ৭টি মামলায় ৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযানস চালিয়ে ৩টি মামলায় ১৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
জেলা প্রশাসনের স্ট্যাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে উমর ফারুক বলেন, লকডাউন সফল করতে নগরজুড়ে মোট ১০টি অভিযান পরিচালনা করেন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম। মূল রাস্তাছাড়াও অলি-গলিতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অযথা আড্ডারত অবস্থায় যাদের পাওয়া গেছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং বাসায় পাঠানো হয়েছে।