অক্সিজেন সংকট লাঘবে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ছয় হাজার লিটারের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপিত লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরোয়ার, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী অমল কান্তি দাস, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সৌরভ দাস শেখরসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির ধারণ ক্ষমতা ৬ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন। তাছাড়া অতিরিক্ত ৪৮টি অক্সিজেন্ট সিলিন্ডার রয়েছে সম্পৃক্ত। স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে সদর হাসপাতালের ১১২টি বেডে সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আইসিও বেডের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রায় দুমাস নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে এই প্ল্যান্ট থেকে। ৫০% এবং ৭০% অক্সিজেন শেষ হওয়ার সময়গুলোতে অটোমেটিক সংকেত দিবে মেশিন। দুইশ ৫০ সিটের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সদর হাসপাতালের। পার্শ্ববর্তী নার্সিং কলেজেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে করোনা ইউনিটে।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, সদিচ্ছা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতায় বান্দরবান জেলায় সদর হাসপাতালে ৬ হাজার লিটারের লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে বান্দরবানবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হলো। এই স্থাপনার মাধ্যমে বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলার অসুস্থ মানুষের অক্সিজেন সমস্যা অনেকটায় লাঘব হবে। পাহাড়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সচেষ্ট সরকার। প্রত্যন্তঞ্চলের মানুষের দৌঁড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছাতে ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ক্লিনিক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সকলকে সচেতন হতে হবে। সর্বাত্মক সতর্ক ভাবে করোনা ভাইরাসের মহামারি সংকট মোকাবেলা করতে হবে। মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। দেশবাসী সচেতন না হলে সরকারের একার পক্ষে এই মহামারি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।