নগরীর হাজারী গলির ওষুধ মার্কেটে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে অননুমোদিত ও ক্ষতিকারক শক্তিবর্ধক ওষুধ বিক্রির দায়ে চার ফার্মেসিকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফার্মেসিগুলো হল- নিউ ড্রাগ হাউস, এম মেডিকো, গোপাল মেডিকেল হল ও প্রভাতী ড্রাগ হাউস। এর মধ্যে নিউ ড্রাগ হাউসকে ১ লাখ টাকা, এম মেডিকোকে ৬০ হাজার টাকা, গোপাল মেডিকেল হলকে ৮০ হাজার টাকা ও প্রভাতী ড্রাগ হাউসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান বলেন, করোনার শুরু থেকেই হাজারী গলির ওষুধ মার্কেটের বেশ কিছু ফার্মেসির মালিক অননুমোদিত ওষুধ বিক্রয় করে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এসব ফার্মেসিতে অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছিল। জরিমানার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও অননুমোদিত ওষুধ বিক্রির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। যার ফলে মঙ্গলবার ফের সেখানে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি পুরো মার্কেটের সব দোকানদারদের সতর্ক করা হয়েছে। অপরাধ স্বীকার করে তারাও কথা দিয়েছে, অনুমোদিত ওষুধ ভোক্তার কাছে আর বিক্রয় করবে না।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অভিযানে কয়েকটি ফার্মেসিতে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ, অননুমোদিত বিদেশি ওষুধ এবং ক্ষতিকারক শক্তিবর্ধক ওষুধসহ সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণ যোগ্য ফিজিশিয়ান স্যাম্পল পাওয়া যায়। প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ ওষুধ পাওয়া যায়। পরে সেগুলো বিধিমোতাবেক ধ্বংসের জন্য জব্দ করা হয়। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর খুলশী, বায়েজিদ, কোতোয়ালী, সদরঘাট, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, ইপজেড, বন্দর, পাহাড়তলী, হালিশহর, আকবরশাহ এলাকায় আরও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন। এ চারজন মূলত করোনা ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১২ টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসকের স্ট্যাফ অফিসার উমর ফারুক আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।