চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ গতকাল ১১ এপ্রিল বিকাল ৩ টা ৫ মিনিটে নগরীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল (ইন্নালিল্লাহে– রাজেউন) করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, আত্মীয়-স্বজন, ছাত্রছাত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল বাদ মাগরিব নতুন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। উপাচার্য এক শোক বাণীতে বলেন, ড. হাসান মোহাম্মদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ, বিনয়ী, সদা হাস্যোজ্জ্বল একজন ভালো মনের মানুষ।
তাঁর মৃত্যুতে আরো শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান এলামনাই এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজহারুল হক শাহ ও সেক্রেটারি নাসিমুল গণি। তাঁরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, ড. হাসান ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ৩৮ বছর শিক্ষকতা শেষে ২০১৯ সালে অবসরে যান। বাংলাদেশের সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, রাজনৈতিক আন্দোলন, রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ইত্যাদি হাসান মোহাম্মদের গবেষণা ও লেখার প্রধান উপজীব্য বিষয়। ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে তাঁর ১০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক ড. হাসান মোহাম্মদ ১৯৫৪ সালে সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর সন্তান ড. ফুয়াদ হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সায়িদ হাসান ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের প্রভাষক।