টাইগারদের পুরোনা যোদ্ধা ইমরুল কায়েসের ফর্ম খুব একটা খারাপ নয়। সর্বশেষ ১০ ইনিংসের দুটিতে আছে সেঞ্চুরি। আছে ৩টি ফিফটিও। এমনকি সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) তার ব্যাট হেসেছে। কিন্তু তারপরও জাতীয় দলে জায়গা হয় না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। এর পেছনে কারণ হিসেবে কোচদের খুশি করতে না পারার কথা জানালেন ইমরুল নিজেই। সর্বশেষ শ্রীলংকাগামী দলে রাখা হয়নি ইমরুল কায়েসকে। অথচ এবার স্কোয়াডের সদস্য ২১ জন। দলে অভিজ্ঞরা অনুপস্থিত। তা সত্ত্বেও প্রাথমিক দলে জায়গা না পাওয়ায় বেশ হতাশ ইমরুল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি হয়তো বা কোচদের পছন্দের খেলোয়াড় হতে পারিনি কখনো। তাদের খুশি করতে পারি না। তাদের চাওয়া মতো অবদান রাখতে পারি না।’ ইমরুল ম্যানেজমেন্টের দায়টা এক্ষেত্রে বেশি দেখছেন। তার মত, ‘জেমি সিডন্স থেকে শুরু করে হাথুরুসিংহে পর্যন্ত সবাই শুরুতে আমাকে পছন্দ করেনি কিন্তু দেখতে দেখতে একসময় পছন্দ করা শুরু করে এবং আমার ওপর বিশ্বাস করেছে। একটা খেলোয়াড়ের প্রতি কোচের বিশ্বাস রাখাটা খুব বড় ব্যাপার। বিদেশি কোচরা আসে, বেনিফিট নিয়ে চলে যায়। তারা আমাদের সম্পর্কে খুব বেশি জানে না। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তো জানে আমরা কি করছি দেশের জন্য। আমার মনে হয় তাদের একটু বিবেচনা করা উচিত। বিদেশি কোচের কথায় হুট করেই আমাদের বাদ দিয়ে দেয় ম্যানেজমেন্ট- বিষয়টা দুঃখজনক।’ সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সফরের দলে কন্ডিশনের কারণে ডাক পড়েনি ইমরুলের। অথচ কিউইদের মাটিতেই দুইবার সফর করে এসেছেন তিনি। এর মধ্যে একবার হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। ফলে আফসোসটা তার একটু বেশিই, ‘যখন দেখলাম, নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমাকে কন্ডিশনের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, তখন আমার খারাপটা বেশি লেগেছে। টিম কম্বিনেশনের কারণে বাদ দিতে পারে কিন্তু কন্ডিশনের কারণে যদি বাদ দেয়, সেটা আমার জন্য খুব দুঃখজনক। দুইবার নিউজিল্যান্ডে খেলতে গিয়েছি। দুইবারই ভালো করেছি। একবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলাম, একবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলাম। এদিক থেকে আমার বাদ পড়ার প্রশ্ন উঠে না।’