খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত

| সোমবার , ১২ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

অবস্থা স্থিতিশীল, ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শেই চলছে চিকিৎসা, বাসার আরও ৮ আক্রান্ত
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গতকাল রোববার সকালে খালেদা জিয়া করোনাভাইরাস পজিটিভ জানানোর পর তা নিয়ে বিএনপি ছিল নিশ্চুপ। এরপর গতকাল বিকালে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দলীয় প্রধানের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়ে বলেন, তিনি ভালো আছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) আইসিডিডিআর,বিতে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা আজকে যেটা পেয়েছি, সেই টেস্ট রিপোর্টটা পজিটিভ। অর্থাৎ তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রফেসর ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক যারা আছেন, তাদের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি এখন স্টেবল আছেন, ভালো আছেন। খালেদা জিয়ার অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তার কোনো টেম্পারেচার নেই, অন্য কোনো উপসর্গও তার নেই।
তার চিকিৎসা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক যারা আছেন তারা দেশের অত্যন্ত বরণ্যে চিকিৎসক তাদের তত্ত্বাবধায়নে আছেন এবং তিনি ভালো আছেন। তিনি জানান, তার চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ যদি কোনো প্রয়োজন হয়, তখন সেই ভাবেই ফারদার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফখরুল বলেন, বিশেষ করে আমাদের দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের আহবান থাকবে যে, তারা দেশনেত্রীর রোগমুক্তির জন্য পরম করুনাময় আল্লাহ’তালার কাছে দোয়া চাইবে এবং সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে তারা যেন দোয়া করেন।
খালেদার বাসায় আরও ৮ জন আক্রান্ত: এদিকে ঢাকার গুলশানে খালেদা জিয়া যে বাড়িতে থাকছেন, সেই ‘ফিরোজায়’ আরও ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে আসার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মো. আল মামুন। তিনি বলেন, ম্যাডামসহ মোট ৯জন আক্রান্ত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে মামুন বলেন, আল্লাহর রহমতে ম্যাডামের ফিজিক্যাল কন্ডিশন ভালো। কোনো উপসর্গ তার নেই। জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট কোনো কিছুই নাই। তাহলে কেন নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ল- তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বাসার একজন স্টাফের আরও ৫/৬ দিন আগে জ্বরজ্বর ভাব ছিলো। তখন তার টেস্ট করানো হয়। টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। পজিটিভ আসার পরে ওই স্টাফ যে রুমে থাকত, ওই রুমে বাকিদেরও আমরা চেক করাই। তখন তাদেরও পজিটিভ আসে। তখন সেফটি পারপাসে ম্যাডামের টেস্ট করানো হয়, এরপর পজিটিভ আসে সেই রেজাল্টও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার
পরবর্তী নিবন্ধভাড়া বাসায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত