কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও একটি বিশাল মরা তিমি ভেসে এসেছে। গতকাল শনিবার সকালে হিমছড়ি সৈকতের আমতলীর ছড়ি মোহনায় এ মরা তিমিটি ভেসে আসে। এই তিমিটি আগের দিনে ভেসে আসা তিমির চেয়ে একটু বড় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান জানান, এটির দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট। আর আগের দিন ভেসে আসা তিমিটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪৪ ফুট। এটিও ব্রাইডস হুয়েল জাতের তিমি। তবে দুটি তিমি সঙ্গী কীনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। অবশ্য দুটি তিমিরই আঘাতে মৃত্যু ঘটেছে বলে বলে মনে করেন সমুদ্র বিজ্ঞানী ড. শফিক।
তিনি বলেন, দুটো তিমির শরীরেই গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তিমি দুটি আরও অন্তত ১০/১২দিন আগে মারা গেছে। তবে আজ শনিবার (গতকাল) ভেসে আসা তিমিটি আগের দিন ভেসে আসা তিমিটির আগেই মারা গিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ব্রাইডস হুয়েল দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ৫০ ফুটের মতো এবং ওজনে ৩০ থেকে ৩৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। আর মৃত ভেসে আসা তিমিগুলোর ওজনও ২৫ টনের কম হবে না। সমুদ্র বিজ্ঞানী ড. এমএন সরকার বলেন, এ নিয়ে গত ৩১ বছরে বাংলাদেশ উপকূলে ১১টি তিমি ভেসে আসে। তবে আগের তিমিগুলোর মৃত্যুর কারণ ছিল স্বাভাবিক।
এদিকে শুক্রবার ভেসে আসা মরা তিমিটি প্রশাসনের উদ্যোগে সৈকতে পুঁতে ফেলার পর শনিবার সকালে জোয়ারের পানিতে তা আবারো ভেসে ওঠে। ফলে দুটি প্রাণীই সৈকতে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। তবে শনিবার রাতে তিমি দুটি পুনরায় পুঁতে ফেলা হয়। তিমি দুটির কঙ্কাল গবেষণার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।











