সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এর প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বিবৃতিতে বলা হয়, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এদেশের তৌহিদি জনতার রাহবার ও আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি এদেশের হাজার হাজার আলেমের সম্মানিত ওস্তাদ। তাকে হয়রানি কিংবা তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে এদেশের তৌহিদি জনতা তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হেফাজত কোনো তাণ্ডব চালায়নি। বরং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুপ্ত হামলা চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে এখন হেফাজতকে দোষারোপ করা হচ্ছে। হাসানুল হক ইনুসহ সরকারদলীয় ব্যক্তিবর্গ তদন্ত ছাড়াই হেফাজতের নামে অনবরত মিথ্যাচারপূর্বক হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কোনো ধরনের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করি না। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, কিন্তু আমাদের উসকানি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে এর পরিণতি সরকারের জন্য ভালো হবে না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হাসানুল হক ইনু পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া ২১টি প্রাণের জন্য একটুও দুঃখপ্রকাশ করেননি। পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিচার চাননি। শান্তিপূর্ণ হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলে কারা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি সহিংস করে তুলেছিল? হেলমেট পরে চাপাতি ও রামদা হাতে কারা পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রতিবাদকারী মুসল্লিদের উপর হামলে পড়েছিল? সেসবের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সারা দেশের মানুষ দেখেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলাকালীন কোনো ভিডিও ফুটেজ বা ছবি প্রকাশ না করে কোনো তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই আগেভাগে হেফাজতে ইসলামকে দায়ী করে অনবরত প্রোপাগান্ডা চালানো থেকেই বুঝা যায়, স্যাবোট্যাজ হিসেবে এসব তাণ্ডব ঘটিয়ে হেফাজতকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধী পক্ষের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এহেন স্যাবোট্যাজ ঘটাতে আমরা আগেও বহুবার দেখেছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











