লকডাউন দেখতে রাস্তায় বের হয়েছে শত শত মানুষ। গতকাল সোমবার কক্সবাজার শহরের রাস্তায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এছাড়া জেলায় লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার ভোর থেকে জেলা শহরে প্রশাসনের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের একাধিক টিম টহল জোরদার করেছে। এছাড়া জেলার আট উপজেলাতেও প্রশাসন সাতদিনের লকডাউন কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
লকডাউনের প্রথমদিন গতকাল সকাল থেকেই শহরের দোকানপাট ও গণপরিবহন চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়্। কাঁচাবাজার ও ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ শহরের ব্যস্ততম বড় বাজার, বাজারঘাটা ও প্রধান সড়কসহ বিভিন্নস্থানে সরেজমিন ঘুরে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি বাজারে সমবেত লোকজনকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বের না হওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাধিক টিম সক্রিয় রয়েছে। মানুষ লকডাউন কার্যক্রম সফল করতে সহযোগিতা করছে।
এদিকে সোমবার লকডাউনের প্রথম দিন শহরের প্রধান সড়কের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে মানুষের লক্ষণীয় আনাগোনা ছিল। সেখানে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক না পড়ে লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। এসময় অনেকেই লকডাউন দেখার জন্য ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে অনেককে। কেউ কেউ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাইরে বের হওয়ার নানা অজুহাত দেখান। এছাড়া কয়েকজন দোকানদার পেটের দায়ে দোকান খুলেছেন বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ জানান, শহরে যেসব দোকান ও প্রতিষ্ঠান অযথা খোলা পাওয়া গেছে এবং যারা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন তাদের জরিমানা করা হয়েছে।