‘লকডাউন দেখতে’ কক্সবাজার শহরের রাস্তায় বের হয়েছেন শত শত মানুষ। লকডাউনের প্রথমদিন আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) কক্সবাজার শহরের রাস্তায় দেখা গেছে এমন মানুষ। কক্সবাজারে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ সোমবার ভোর থেকে জেলা শহরে প্রশাসনের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের একাধিক টিম শহরে টহল জোরদার করেছে।
এছাড়া জেলার আট উপজেলাতেও প্রশাসন সাতদিনের লকডাউন কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
লকডাউনের প্রথমদিন আজ সোমবার সকাল থেকেই শহরের দোকানপাট ও গণপরিবহন চলাচলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়্।
কাঁচাবাজার ও ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধে অভিযান চালানো হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ শহরের ব্যস্ততম বড় বাজার, বাজারঘাটা ও প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় তিনি বাজারে সমবেত লোকজনকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “করোনা সংক্রমণের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাধিক টিম সক্রিয় রয়েছে। মানুষ লকডাউন কার্যক্রম সফল করতে সহযোগিতা করছে।”
এদিকে সোমবার লকডাউনের প্রথম দিন শহরের প্রধান সড়কের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে মানুষের লক্ষ্যণীয় আনাগোনা ছিল।
সেখানে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক না পরে লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। এসময় অনেকেই লকডাউন দেখার জন্যও ঘর থেকে বের হয়েছেন বলে জানান।
কেউ কেউ বাইরে বের হওয়ার নানা অজুহাত দেখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতকেও। কয়েকজন দোকানদার পেটের দায়ে দোকান খুলেছেন বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিন আল পারভেজ জানান, শহরে যেসব দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান অযথা খোলা পাওয়া গেছে এবং যারা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।