নগরীর আকবরশাহ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকার কিশোরী কুলছুম আক্তার অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যায়নি, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর আট মাস পরে দেয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই হত্যাকান্ডে জড়িত তার চাচী সুমি আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে শাপলা আবাসিক এলাকার হারুনের বিল্ডিংয়ের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন আজাদীকে বলেন, গত বছরের ২ জুলাই রাতে কিশোরী কুলছুম আক্তার জ্বর, সর্দি, হাত পা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা যায়। এ অপমৃত্যুর মামলায় আকবরশাহ থানার এসআই ছায়েম ময়নাতদন্তের ফলাফল জানতে চান চমেক ফরেনসিক বিভাগের কাছে। এর প্রেক্ষিতে ৮ মাস পর ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে আসে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
গ্রেপ্তারের পরে আদালতে জবানবন্দিতে আসামি সুমি আক্তার জানান, মৃত কুলসুম আক্তার (১৪) আসামি সুমি আক্তারের স্বামী মো. আলমগীর হোসেনের বড়ভাই মো. আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার বাড়ি চাঁদপুরে। বাবার মৃত্যুর পর সে তার চাচা-চাচীর সাথে নগরীর আকবরশাহ ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। পালিত মেয়ের মতই তাদের সাথে থাকত ওই কিশোরী। মৃত কুলছুম আক্তারকে আসামি সুমি আক্তার মনের দিক থেকে মেনে নেননি। তার চাচা বিদেশে চলে গেলে কুলছুমের ওপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। কিশোরী কুলছুম বাসায় কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে প্রায় সময় প্রহার করা হতো। তার মেয়ের সাথে ঝগড়ার অজুহাতে ঘটনার দিন নিজ হাতে কিশোরী কুলছুমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন আসামি।