করোনা শনাক্তের হার প্রতিদিন বাড়ছে। মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। তবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় সক্ষমতা বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ল্যাবের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, নমুনা সংগ্রহের পরদিনই রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন রোগীরা। গত বছর রিপোর্ট পেতে প্রায় দুই সপ্তাহ লেগে যেত। এমনকি রোগীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন স্বজনরা। বর্তমানে চট্টগ্রামে ৮-৯ বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বুথ বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামে গত শনিবার ১ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষাকৃত নমুনায় ১৩.১৬ শতাংশের পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২ এপ্রিল আগের ২৪ ঘন্টায় ২ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড ৫১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৬৫ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬০ জন। শনাক্তের হার ১৪ শতাংশেরও বেশি।
ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ আজাদীকে বলেন, বর্তমানে কোনো ধরনের নমুনা জট নেই। আমাদের ল্যাবে দুই শিফটে দুটি মেশিনের মাধ্যমে ১৬-১৭ জন পরীক্ষা করছেন। একই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। নমুনা রিসিভ করার পরদিনই রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে নমুনা সংগ্রহের বুথ বাড়ানোরও প্রয়োজন মনে করছি না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাব প্রধান অধ্যাপক এহসানুল হক কাজল আজাদীকে বলেন, এখন আমরা একদিন পরে করোনার রিপোর্ট দিয়ে দিচ্ছি। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। এই মুহূর্তে নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা বুথ বাড়ানোরও প্রয়োজন নেই।