খাগড়াছড়ির সাপ্তাহিক হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না শারীরিক দুরত্ব। একসাথে বাজারে জমায়েত হচ্ছে শতশত মানুষ। সংক্রমণরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও সাপ্তাহিক হাটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না তা।
সাপ্তাহিক হাটগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ি বাজারগুলো নিয়ন্ত্রণের হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় প্রায় শতাধিক হাট রয়েছে। প্রতিদিন এসব হাটে বেচাকেনা হলেও নিদিষ্ট দিনে বসে সাপ্তাহিক হাট। পাহাড়ের বিভিন্ন প্রাান্তে এসব হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগম হয়। এক সাথে এত মানুষের জমায়েত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা থেকে যায়।
শনিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বোয়ালখালি নতুন বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে। সরেজমিনে দেখা যায়, হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের অধিকাংশই মাস্ক পরেনি। মাস্ক না পরা নিয়ে জানতে চাইলে,সবারই রয়েছে নানা অজুহাত। মাস্ক নিয়ে সচেতন না তারা। প্রশাসনের কোন তৎপরতা না থাকলেও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরন করে স্বেচ্ছাসেবকরা। স্বেচ্ছাসেবক বিজন বড়ুয়া, টুটুল বড়ুয়া জানান, বাজারে বিপুল মানুষের সমাগম হয়েছে। কিন্তু অনেকের মাস্ক নাই। সকাল থেকে ৪শ মাস্ক বিতরণ করেছি। হাটের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছে না। তবে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে একই অবস্থা রামগড়, মাটিরাঙা ও পানছড়ি উপজেলায়। সাপ্তাহিক হাটের দিনে ভিড় করছে শত শত ক্রেতা বিক্রেতা। পন্য নিয়ে বাজারে আসছে বিক্রেতারা। এ সময় প্রতি ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে কোন প্রকার দূরত্ব বজায় রাখা হয় না। রীতিমত ভিড় ঠেলে বাজার করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এসব হাটে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। বিক্রেতারা জানান, শাকসবজি ও পচনশীল পণ্য বিক্রি করতে তারা বাজারে এসেছে।
করোনা স্বাস্থ্য বিধি না মানাতে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। প্রতিদিন মাইকিং এর পাশাপাশি চালানো হচ্ছে অভিযান। গত দুই দিনে পুরো জেলায় ২ শতাধিক মানুষকে জরিমানা করা হয়।