ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে নাশকতাকারীরা রাষ্ট্র ও জনগণের মূল্যবান সম্পদ ও জমির দলিলপত্র নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, তারা রেকর্ডপত্র নষ্ট করে ভূমি অফিসগুলোর আওতাভুক্ত এলাকার সাধারণ জনগণকে দীর্ঘমেয়াদী হয়রানির ও ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। খবর বাসসের।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী গতকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এফডিসির মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি তার্কিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নজরদারি বৃদ্ধি করার জন্য ‘আইপি ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা’ ও দলিলাদির নিরাপত্তায় অগ্নিনিরোধী আলমারির স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জনভোগান্তি কমাতে দ্রুত ছায়া রেকর্ডপত্র
তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভূমি সেক্টরে এমনভাবে ‘সিস্টেমের’ টেকসই পরিবর্তন করছি যেন দুর্নীতি করার সুযোগই না থাকে।
তিনি আরো আরও জানান পটুয়াখালী ও বরগুনায় দ্রুত বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) শুরু হবে যা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে। সরকারি জমি দখলকে দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শীগগিরই আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে বলেও জানান ভূমিমন্ত্রী। ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলাদা ‘ল্যান্ড ক্রাইম অ্যাক্ট’ করার বিষয়টিও বিবেচনাধীন আছে বলে ভূমিমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফিসহ অন্যান্য সনদপত্র বিতরণ করেন ভূমিমন্ত্রী।