করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানান তিনি।
সিভিল সার্জন বলেন, ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ডোজ টিকা মজুদ আছে। সেখান থেকেই দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চালানো হবে। পাশাপাশি প্রথম ডোজ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ বাড়লেও কমতে শুরু করেছে টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা। সর্বশেষ রোববার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামে টিকা গ্রহণ করেছেন ১ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করেছেন ৭৬২ জন এবং ১৪ উপজেলায় টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিয়েছেন ৪৯৬ জন।-বাংলানিউজ
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, রোববার সীতাকুণ্ড উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬৭ জন টিকা গ্রহণ করেন। এছাড়া হাটহাজারী ও সন্দ্বীপ উপজেলায় সর্বনিম্ন ১০ জন করে টিকা গ্রহণ করেছেন। এইদিন ফটিকছড়ি উপজেলায় একজনও টিকা গ্রহণ করেননি। অন্যান্য উপজেলায়ও টিকা গ্রহণে আগ্রহীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
প্রথমদিকে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও আগ্রহীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কমে গেছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকা নিতে ওই বয়সের মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে এসেছে। তাই টিকা গ্রহীতার সংখ্যাও কমেছে।
দ্বিতীয় ডোজ চালু হলে এবং রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বয়সসীমার সীমাবদ্ধতা তুলে দিলে আবারও টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।