অন্যের হক খেয়ে বা অবৈধ উপায়ে যারা সম্পদশালী হয় তারা সবসময় নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী থাকে কারণ কেউ না জানলেও সে কোন উপায়ে এগুলো করেছে তা তার নিজের বিবেকের কাছে রেকর্ড থাকে। আর বিবেক তাকে প্রতি মুহূর্তে ধিক্কার দিয়ে থাকে যা তারা কাউকে বলতেও পারে না, নিজের কাছেই নিজে অনুতপ্ত থাকে সবসময়। এ ধরনের মানুষগুলো বাইরের মানুষদের নিজেকে অনেক সুখী প্রমাণ দিলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুখী তারাই, যারা তাদের নিজেদের বিবেকের কাছে প্রতিমুহূর্তে অপরাধী হিসেবে অনুতপ্ত। প্রকৃত সুখীতো আসলে তারা যারা দিনেরটা দিনে এনে খেলেও সৎ উপার্জনে খায়, ব্যাংক ব্যলেন্স না থাকলেও নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী নয়। যারা অন্যের হক খায় ও অবৈধ উপায়ে সম্পদশালী হয় তারা কিন্তু জানে এগুলো অপরাধ, এগুলো অন্যায়, এসব করে লোক দেখানো সুখ জীবনে আসলেও প্রকৃত সুখী কখনো হওয়া যায় না। আবার তারাই সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হয়ে বড় পোস্টে অবস্থান নিয়ে মহান বাণীর জন্ম দেয় যে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ চাই, কারো হক নষ্ট করা খারাপ কাজ। বাইরে তারা লোক দেখানো এসব কথা বলে থাকলেও দিনশেষে নিজের বিবেকের কাছে হতাশাগ্রস্ত থাকে।আর একটা সময়ে নিজের এই বিবেকের দেয়া হতাশার কারণেই সে তার সম্পদ ভোগে অতৃপ্তি নিয়ে পৃথিবীতে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের স্বাদ জানতে অক্ষম হয়। কি হবে এতো সম্পদ দিয়ে যার দ্বারা প্রতিমুহূর্তে বিবেকের দেয়া হতাশা ধিক্কার দিয়ে দিয়ে জীবনকে নরক বানিয়ে দিবে?