উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া করোনাভাইরাসের টিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রপ্তানির টিকাগুলোও যথাসময়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। সন্ধ্যা ৭টায় মোদী বঙ্গভবনে পৌঁছালে আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পরে ক্রেডেনশিয়াল হলে বসে বৈঠক করেন তারা। সাক্ষাৎ শেষে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে টিকা প্রদান করায় রাষ্ট্রপতি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসব টিকা আসার কথা তা যথাসময়ে আসবে।
শুক্রবার দুপুরে মোদী উপহার হিসেবে ১২ লাখ ডোজ টিকা সঙ্গে নিয়ে আসেন। এ নিয়ে উপহার ও কেনা মিলিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মোট এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ভারত সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অঙফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বলে খবর এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
অঙফোর্ডের টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে উপহার হিসেবে। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি আসে ২০ লাখ ডোজ টিকা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত সবসময় বিশ্বস্ত বন্ধু মনে করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভারত সব সময় পাশে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার ভারতসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং পারস্পরিক মর্যাদা, আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে একে অপরের বিশ্বস্ত বন্ধু।