হাটহাজারী এলাকায় কওমি মাদরাসার ছাত্ররা রেললাইনের স্লিপার তুলে ফেলার কারণে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ও চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার সারাদিন কোন ট্রেন চলাচল করেনি এই দুই রুটে। অপরদিকে গত শুক্রবারের মতো গতকাল শনিবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে কওমি মাদরাসার ছাত্ররা। তারা ট্রেন লাইনও উপড়ে ফেলে। এর ফলে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও সিলেট রুটের কোন ট্রেনই ঠিক মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ও চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে আজকে (গতকাল শনিবার) কোন ট্রেন চলাচল করেনি। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা-সিলেটসহ অন্যান্য রুটের সকল ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এঙপ্রেস প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৪টায় আসলেও শনিবার এসেছে সকাল সাড়ে ১১টায়। ছেড়ে গেছে বিকাল সাড়ে ৪টায়। জানা গেছে, হেফাজতকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তা-ব চলায়। গতকাল শনিবারও তারা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাস্টার শোয়েব আহমেদ জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে চলাচলকারী ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই যাত্রাবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে রেললাইনের ওপর নিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সাত ঘণ্টা পর আবার চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্টেশন মাস্টার বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রাখা হবে। তবে মেইল ট্রেনের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।