বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালে সারাদেশে মৌলবাদী, জামায়াত-বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক ধ্বংসাত্নাক তাণ্ডবলীলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ।
আজ শনিবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর চত্বর হতে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি শহরের কাঁঠালতলী, বনরুপা হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। তারপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। এসময় শ্লোগানে, শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তোলেন নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বক্তব্য রাখেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, “রাজাকারদের উত্তরসূরীরা দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। আর কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার চেষ্টা করা হলে বাংলার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এর জবাব দেওয়া হবে।”
সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন আগামীকাল (২৮ মার্চ) রবিবার হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল প্রত্যাখান করে তা রাঙামাটিতে প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
একইসঙ্গে হরতাল চলাকালে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা এবং রাজপথে গাড়ি বের করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সংগঠকরা।
তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, “হেফাজত ইসলামের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। তারা তাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে কোনোদিন জাতীয় পতাকা তোলে না, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে না। তারা জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে অথচ লংমার্চে তারা জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে। তাদের ভণ্ডামি জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। কালকের হরতাল প্রত্যাখান করে আপনারা সবাই রাজপথে নামুন। গাড়ি বের করুন, দোকানপাট খোলা রাখুন। রাঙামাটি জেলায় এদিন জনগণের পাশে থাকবে ছাত্রলীগ।”
এসময় জেলা, কলেজ, পৌর, সদর উপজেলা, ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ৮টায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে আজ শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও আগামীকাল রবিবার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী।