টিসিবির পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। গত দুই-তিন দিন নগরীর বিভিন্ন স্পটে টিসিবির ট্রাকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। গরমের মধ্যেও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য সংগ্রহ করছেন ভোক্তারা। প্রতিদিন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি স্পটে টিসিবির ডিলাররা ট্রাকে করে চিনি, সয়াবিন, মসুরডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে।
বছরের অন্যান্য সময় যেখানে টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) প্রায় পণ্য অবিক্রিত থেকে যেত, এখন সেই প্রেক্ষাপট একেবারেই পাল্টে গেছে। এখন ট্রাকের সংখ্যা যেমন বেড়েছে- তেমনি বেড়েছে পণ্যের পরিমাণও। তারপরও প্রতিটি ট্রাকের সমস্ত পণ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কোন পণ্যই ফেরত যাচ্ছে না বলে জানান টিসিবির চট্টগ্রাম অফিসের কর্মকর্তারা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি চিনি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, প্রতি কেজি মসুরডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অথচ টিসিবির ট্রাকে এসব পণ্য প্রতি কেজি ১৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি ক্রেতাদের মাঝে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করছে ৫০ টাকায়, প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছে ৯০ টাকায়, প্রতি কেজি মসুরডাল বিক্রি করছে(তুরস্কের) ৫৫ টাকায় এবং প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ২০ টাকায়। বাজার মূল্য থেকে টিসিবির পণ্যের দাম অনেক কম হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।
এ ব্যাপারে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে জানান, টিসিবির প্রতিটি পণ্যই ভালো মানের। এজন্য দিনদিন ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখছি-টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। আমরা আগে নগরীতে ১৫টি ট্রাক দিয়েছিলাম। এখন আমরা বাড়িয়ে ২২টি করেছি। প্রতিদিন প্রতি ট্রাকে ১ হাজার কেজি চিনি, ১ হাজার লিটার তেল, ৭৫০ কেজি মসুর ডাল, ৪শ’ কেজি পেঁয়াজ দিচ্ছি, সবটাই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কোন পণ্যই ফেরত আসছে না।
রমজানের আগে ট্রাক আরও বাড়বে বলে জানিয়ে টিসিবির অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, রমজানে খেজুর ও ছোলা এ দুটো পণ্য বিক্রি করা হবে।