সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনে উসকানির দায়ে যুক্তরাজ্যে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত মুন্না হামজাকে (৫০) ২০১৮ সালের জুলাইতে দক্ষিণ লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করেন লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের সদস্যরা। সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার তিন অভিযোগে শুক্রবার উলউইচ ক্রাউন কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেয় বলে এক পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ যোগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামজার পোস্ট নিয়ে এক নাগরিক পুলিশকে জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশকে সতর্ককারী ওই ব্যক্তির প্রশংসা করে কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেন, এর ফলে সহিংসতা ও সন্ত্রাস উসকে দেওয়ার মতো আর কোনো কিছু প্রকাশ করা থেকে তাকে আমরা বিরত রাখতে পেরেছি। তা নাহলে ভয়াবহ কিছু ঘটে যাওয়ার শঙ্কা ছিল।
২০১৮ সালের ১৭ মে হামজার আগের দিনের একাধিক পোস্ট নিয়ে সতর্ক করেন একব্যক্তি। কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি উদ্বেগজনক পোস্ট খুঁজে পায়। সেসব পোস্টে হামজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক সহিংসতামূলক কর্মকাণাড সংঘটনে’র অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান। ৪ জুলাই দক্ষিণ লন্ডনের কর্মস্থল থেকে হামজাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তার কম্পিউটার, ফোন ও মেমোরি কার্ড জব্দ করে। তিনি ওই সব পোস্ট প্রকাশের দায় স্বীকার করেন এবং পরে জামিন পান। তার ওইসব পোস্ট পর্যালোচনা করে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন খুঁজে পেলে পরের বছর ২৮ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ‘টেররিজম অ্যাক্ট’ এর ১(২) ধারায় সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ যোগানোর চার ধরনের ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এবছর ১৩ জানুয়ারি তিনটি ঘটনায় হামজার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়। আরেকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি। যেসব পোস্টের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেগুলোতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশিত তিনটি পোস্ট (একটি অভিযোগ হিসেবে গণ্য), ২০১৮ সালের ৩ মে ও ১৬ মে প্রকাশিত আরেকটি পোস্ট রয়েছে। যেটিতে নির্দোষ ছিলেন, সেই পোস্ট ২০১৮ সালের ২৪ জুন প্রকাশিত।