বঙ্গবন্ধু কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামের তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু এবার প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে তুলে নিলেন প্রথম সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে জাতীয় লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রান করে চট্টগ্রাম। এরপর বোলাররা বিশেষ করে পেসাররা চেপে ধরে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের। ফলে প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানে অল আউট হয় রাজশাহী। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মোটেও স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রাম। ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম। তারপরও ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে চট্টগ্রাম এগিয়ে ১৭৮ রানে। আজ তৃতীয় দিনে বাকি ৫টি উইকেট হারিয়ে কত রান যোগ করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়। প্রথশ দিনে ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন দিপু। কিন্তু তার অপর প্রান্তে যারা ছিলেন তারা কতটা সঙ্গ দিতে পারবে দিপুকে তা নিয়ে ছিল শংকা। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের শতক তুলে নেন দিপু। যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই তরুণের প্রথম সেঞ্চুরি। ১০৮ রান করে আউট হন দিপু। তার ২৫৬ বলের ইনিংসে ১১টি চার এবং ২টি ছক্কার মার ছিল। এরপর চট্টগ্রামের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। অল আউট হয়েছে মাত্র ১৫২ রানে। চট্টগ্রামের তিন পেসার মিলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। যেখানে নোমান চৌধুরী ৪টি এবং মেহেদী হাসান রানা নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ইফরান হোসেনের শিকার একটি। দুটি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার হাসান মুরাদ। প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা চট্টগ্রামের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা একের পর সাজঘরে ফিরতে থাকে। এই ইনিংসেও ব্যর্থ অধিনায়ক মোমিনুল হক। এবার করেছেন ১৩ রান। ফরহাদ রেজার গতির সামনে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রামের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। যদিও এখনো প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান দিপু নামেননি ব্যাট করতে। তার ব্যাটে চড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কতদুর যায় চট্টগ্রাম সেটা দেখার অপেক্ষা। যদিও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বলতে গেলে এখন চট্টগ্রামেরই হাতে। তবে জয়টা তুলে নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।