স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

আয়েশা সিদ্দিকা | বুধবার , ২৪ মার্চ, ২০২১ at ৮:১১ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার মাসে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের, যাদের আত্মত্যাগের মহিমায় আমরা পেয়েছি আজকের এই স্বাধীনতা। বিনম্র শ্রদ্ধা স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অঙ্গসংগঠন ও সংগঠকদের। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মুক্তিকামী বাংলা মায়ের দামাল সন্তান এবং বীরাঙ্গনাদের। পেটে খাবার নেই, চোখে ঘুম নেই, গায়ে জোর নেই, তবুও দেশকে হানাদারমুক্ত করতে অসম্ভব রকম দৃঢ় প্রত্যয় ছিল তাঁদের। একেই বলে দেশপ্রেম। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতি তাক লাগানো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। এসব ইতিহাসকে ছাপিয়ে স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর যখন একজন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয়টি সামনে আসে, একটু হকচকিত হই নড়েচড়ে বসতে ইচ্ছে হয়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের মোড়কে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামটি অর্জন কম কিসের? স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারও গর্ব করার মতো। নিউ জেনারেশনের মাঝে দেশকে ভালোবাসার প্রবণতাও দৃশ্যমান অর্জন বলতে হবে। প্রত্যাশার জায়গায় আমি খানিকটা উচ্চাভিলাষী উন্নয়নশীল নয় উন্নত দেখতে চেয়েছিলাম। ভিনদেশি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিপরীতে একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক ঐক্যের আবদার ছিল। যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ-রেষারেষি, পেশিশক্তি নয় থাকবে গণতন্ত্রের দাপট, বুদ্ধির প্রতিযোগিতা, রাষ্ট্রের সংকটপূর্ণ অবস্থায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ। দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বনবাস আর মেধার সঠিক মূল্যায়ন দেখব ভেবেছিলাম। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট আমাদের বিবেক স্বাধীনতা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলে, সত্যিকার অর্থেই কী আমরা স্বাধীন? আমরা কী আদৌ দুঃখ-দৈন্য, নিয়ম-অনিয়ম, প্রাকৃতিক মহামারী, অত্যাচার-শোষণের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি? দেশের অবকাঠামো ও মানুষের জীবনযাত্রা সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। তবুও এতো কিছুরতরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে পাই । আস্থা রাখি তরুণ প্রজন্মের ওপর। স্বপ্ন দেখি আলোকিত বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রত্যাশা প্রাপ্তি ও আগামীর চ্যালেঞ্জ