চকরিয়া ও ফটিকছড়িতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার এসব ঘটনা ঘটে। চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে যাত্রীবাহী ইজিবাইকের (টমটম) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মোটর সাইকেল আরোহী পারভেজ উদ্দিন নিলয় (২৩)। উপজেলার বরইতলী রাস্তার মাথার অদূরে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত নিলয় বরইতলীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আবছারের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী আনিসুল ইসলাম ফারুকী বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত নিলয় বরইতলী রাস্তার মাথা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার উপার্জনের ওপর নির্ভর ছিল পরিবারটির জীবিকা। কিন্তু এখন পরিবারটি পথে বসে গেছে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. মাহতাবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কথা জানান তিনি।
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল পৃথক ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, সকালে ফটিকছড়ি পৌরসভার কে এম টেক এলাকায় সিএনজি, মোটর সাইকেল ও রিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ২ জন নিহত হন। আহত হন আরও ২ জন। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন, নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার মানিক আচার্য্য (৫০)। অপরজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতরা হলেন মীরসরাইয়ের সুব্রত আচার্য্য (৬০) এবং নারায়ণহাট এলাকার জোবায়ের (১২)।
অপরদিকে বিকেল ৩টার দিকে পাইন্দং হাফেজ নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের জমিতে পড়ে যায় একটি সিএনজি। এতে গাড়ির ড্রাইভার আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একই সময়ে পাইন্দং যোগীনি ঘাটা ব্রিজের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মূল সড়কের নিচে চলে যায় অপর একটি সিএনজি। এতে সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন। ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মীর সরওয়ার আলম বলেন, খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।