বাঁশখালীর চাঁদপুর-বেঁলগাও চা বাগানে চলতি বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কেজি। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা যায়, ৬৩৮ একর জমিতে এবার চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে বাগানের মেনটেইনেন্স ও ক্লিনিংসহ নানা উন্নয়নমুখী কাজ চালানো হচ্ছিল। কিন্ত মার্চ থেকে পুরোদমে উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি না হওয়া তেমন পাতা গাজাচ্ছে না। তবে গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন পানি ছিটানো হচ্ছে।
বাঁশখালীতে অবস্থিত ৩ হাজার ৪৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা বাগানটি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করছে। প্রতিদিন ৭ শতাধিক শ্রমিক এই বাগানে কাজ করেন। চলতি বছর চা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা পূরণে ৭ শতাধিক কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষাসহ নানা সুবিধা রয়েছে বলে জানান বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার। তিনি বলেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় পাতা উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাগান কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে পানি ছিটাচ্ছে। এতে প্রতিদিন নতুন নতুন পাতা গজাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন যত বাড়বে সরকারের রাজস্বপ্রাপ্তির পরিমাণও তত বাড়বে। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পায়। তবে বাগানের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনি না থাকায় প্রতিদিন হাতির পাল আসছে বলে তিনি জানান। এছাড়া চা বাগানে যাতায়াতের সড়কটি সংস্কার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার।