চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাইকার সাথে আমাদের একাধিক আনুষ্ঠানিক ও মৌলিক চুক্তি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে, কিছু বাস্তবায়নাধীন ও প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কারণে দীঘসূত্রতাও আছে, ফলে সময়ক্ষেপণ ও জনস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। জাইকার সাথে চুক্তি বা মৌখিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে প্রকল্পগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও সময়ক্ষেপণ না হয় সেজন্য উভয়পক্ষের ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন। গতকাল রোববার সকালে চসিক মেয়রের কার্যালয়ে জাইকার সলিড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট টিমের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন। এই সময় টীম লিডার মাসাহিরো সাইতো মেয়রকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে চট্টগ্রামের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, চসিকের ল্যান্ডফিলে দুইটি ওয়েব্রিজ স্থাপনের অগ্রগতি, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সেফটি গিয়ারের ব্যবহার জোরদার ও জাইকা হতে প্রোটোটাইপ রিকশাভ্যান ও ওয়ার্ড অফিস তৈরি করে দেয়ার বিষয়ে চসিককে অবহিত করা হয়। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে জাইকা হতে একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ইন্সিনারেটর প্লান্ট প্রদান করার বিষয়ে আলোকপাত করা হয় এবং মেয়র এবিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য জাইকাকে তাগিদ দেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, প্রধান পরিছন্ন্ কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী প্রমুখ।
উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, জাইকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প দলের ইয়োসুকে সানো, ন্যাশনাল টীম লিডার মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, ডেপুটি টীম লিডার ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরওয়ার ও ডবু-বিএ এঙপার্ট মাহমুদ ইবনে সাদেক এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর ইসলাম ও নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।