এক মাসে ১৭ দুর্ঘটনা ১২ জনের প্রাণহানি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ মার্চ, ২০২১ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে গত এক মাসে ১৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১২ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৩৬ জন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না সড়ক দুর্ঘটনা। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন অনিরাপদ করে তুলেছে মহাসড়ককে। স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে চলাচল করার আগে দোয়া-দরুদ পড়েন অনেকেই।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে চলাচলকারী বেশিরভাগ চালকদের নেই বৈধ কাগজপত্র। সিএনজি চালিত লেগুনা এবং সেইফ লাইফ নামে প্রায় শতাধিক গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করছে। এসব গাড়ির বেশিরভাগ চালকরা আনাড়ি এবং স্থানীয় রিক্সা চালকরা সেগুলো চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে ওয়ান বাই সড়ক হওয়ার পর থেকে মহাসড়কে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে সড়কের পাশে স্কুল হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানো, ওভারটেক করার প্রবণতা, চালকদের ট্রাফিক আইন না জানা, অবসাদগ্রস্ততা কিংবা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও প্রশাসন দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় মামলা-জরিমানা করলেও কমেনি দুর্ঘটনার সংখ্যা। বাড়েনি সচেতনতাও।
অপরদিকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক বা হেলপাররাই দায়ী নন। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ওপরও এ দায় বর্তায়। চালকদের অভিযোগ, অনেক গাড়ির মালিক তাদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন গন্তব্য পৌঁছার জন্য। তাতে নির্ধারিত গতি বাড়িয়ে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। অনেক সময় এসব কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো বা রং সাইডে গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার কারণ। তাই চালকদের সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে মাস্ক না পরে জরিমানা গুনলো ২৭ পর্যটক
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরীর মৃত্যু