উচ্চ আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। অন্য দুইজন হলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক ও উপপরিচালক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতের এই আদেশের কপি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তাঁদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের দায়েরকৃত এক রিট মামলার শুনানি শেষে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ৭ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা দেন। একইসাথে যেসব ইটভাটা আইন ভঙ্গ করে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা প্রদানেরও নির্দেশ দেন। পরে নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নামে অভিযোগ এনে রিটকারী আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন। এরপর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আদেশ প্রতিপালনকারীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেন আদালত। পরবর্তীতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে সময়ের আবেদন করলে আদালত ১৪ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গতকাল আদেশের জন্য রাখেন।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ দৈনিক আজাদীকে জানান, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও উচ-পরিচালক এভিডেভিট দাখিল করে আদালত থেকে আবারো সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ পালন না করায় আদালত অবমাননার রুল জারি করে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এবং পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে বেশ কয়েকদফা সময় নিয়ে পালন করতে পারেননি। নতুন করে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। অথচ অনুমতি ছাড়া কোন ইটভাটা পরিচালনা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’