আমাদের জীবনটা বড় বিচিত্র। কখন যে কী করে বসি, কেউ বলতে পারিনা। কোনো কারণ ছাড়াই কাউকে কথা দিয়ে বা আচরণে আঘাত করে বসি, কিংবা মনে করি আমি যা করছি তাই সঠিক, সুতরাং আমি যা করেছি, ঠিকই করেছি। সময় তার নিজস্ব গতিতে চলতে থাকে- এক সময় রিয়ালাইজেশন হয়, যাকে আঘাত করেছি বা অন্তরে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছি, তার কাছে আমরা ক্ষমা চাই, কিংবা তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
দূর এমন কতো কীই তো হয় চলার পথে, ক্ষমা করে দাও আমরা বলি, হ্যাঁ দিলাম তো! ক্ষমা করা আল্লাহ পাক পছন্দ করেন আর ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন। ক্ষমা মহৎ কাজ! তাহলে আমরা যখন একাকী বসে থাকি কিংবা নামাজ শেষে মোনাজাত ধরি, তখন কেন ঐ সব কষ্ট /আঘাতের কথা মনে পড়ে- চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত হয়, তবে কী আমরা ক্ষমা করার নামে যে ক্ষমা করেছি বলি তা কী কেবলই কথার কথা! আমরাতো ভুলে যাইনা – ভুলেই যদি না যাই তাহলে কি ক্ষমা হোলো – জানিনা! আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন। আমরা যেন প্রত্যেকে প্রত্যেকের জবান কে নিয়ন্ত্রণ করি ঈমানের সাথে। নয় হিংসা, নয় বিদ্বেষ, নয় একে অপরের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটানো, সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের সকলের মাঝে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে দেন, এই হোক আমাদের প্রার্থনা। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।