মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার কারণে দেশের সাধারণ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি পর্যায়ের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। গতকাল সোমবার ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ২৪ মে। করোনা সংক্রমণ তলানিতে পড়তে থাকায় সরকার একবছর পর ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হঠাৎ করে বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। সোমবার শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন ২৬ জন। খবর বাংলানিউজের।
অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নেতারা বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণ ৩ শতাংশের নিচে কমে আসায় সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসে। কিন্তু ইতোমধ্যে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এটি গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু।
এ অবস্থায় ঘোষিত তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও পাশাপাশি নতুন বা পরিবর্তিত রূপের আবির্ভাবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ অভিভাবককে সন্তান নিয়ে গণপরিবহন বা রিকশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। যুবকদের আক্রান্ত হার আগের চেয়ে বেড়েছে। শিশুদের হার কম হলেও তারা ভাইরাস-বাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ অবস্থায় অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন না। আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নতুনভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় পরামর্শ কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সরকারকে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানান অভিভাবক নেতারা।
