মাদক আইনের মামলায় আরো দুজনের সাক্ষ্য

কোকেন কাণ্ড

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত কোকেন কাণ্ড ঘটনায় মাদক আইনে করা মামলায় আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূইয়ার আদালত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দুই সাক্ষী হলেন, বন্দরের পার্সোনাল অফিসার (আইআর) আলতাফ হোসেন ও ঘটনার সময় কস্কো বাংলাদেশ শিপিং লাইন্সে কর্মরত থাকা রিয়াজ উদ্দিন। তারা দুজনই পৃথক দুটি জব্দ তালিকার সাক্ষী। এর মধ্যে প্রথম জনের সামনে জব্দকৃত কন্টেনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ করা হয় এবং পরে সিলগালা করা হয়। অপরজনের সামনে মামলা সম্পর্কিত জামাল ও লিনার সাথে আসামিদের আদান-প্রদানের ই-মেইল, ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়।
রাষ্টপক্ষের কৌসূলি ও মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এর আগে গত ৩ মার্চ বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের লে. কমান্ডার নেজাম উদ্দিনসহ তিনজন সাক্ষী এ মামলায় আদালত হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত মামলার বাদীসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, এ মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছে ৬৭ জন। আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তীতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন গুরুত্বপূর্ণ আরও ৪ জন সাক্ষী আদালতের কাছে তাদের সাক্ষ্য দিবেন।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে এ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেয় র‌্যাব। এদের মধ্যে বর্তমানে ২ জন (খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ও বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম) কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদসহ ৪ জন পলাতক ও অপর ৪ জন জামিনে আছেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসীদের ভয়ে বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মীর পদত্যাগ!
পরবর্তী নিবন্ধসমন যাবে ই-মেইলে