বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে কিশোর ছেলের মোবাইলটি বিক্রি করতে বাধ্য হয় পরিবার। এরপরও বাবাকে বাঁচানো যায়নি। অসুস্থতায় ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদের মৃত্যু হয় দুই সপ্তাহ আগে। হারুনুর রশীদের মৃত্যুতে পরিবারটি এমনিতেই দিশেহারা। তার মৃত্যুর দুই সপ্তাহ না যেতেই নতুন মোবাইলের জন্য বায়না ধরে ছেলে ওয়াজিদুর রশীদ (১৭)। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু বিপর্যস্ত পরিবার কিশোর ছেলের বায়না পূরণ করতে পারেনি।
মোবাইল কিনতে না পারায় গতকাল শনিবার বিকেলে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় কিশোর ওয়াজিদুর। পরিবারের সদস্যদের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। অস্বাভাবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর হালিশহর থানাধীন ঈদগাঁ, পূর্ব রামপুরা, বড় পুকুর পাড় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হারুনুর রশীদের ৩ ছেলে, এক মেয়ে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরের আত্মহত্যার খবর শুনেছেন জানিয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আল মামুন জানান, কিশোর ওয়াজিদুর আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছার আগেই পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাশের পোস্টমর্টেম ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।