বাঁশখালীর উপকূলীয় জনগণের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল বেইলি ব্রিজ। ১৯৯১ সালে বাঁশখালী উপকূলে ৬টি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গণ্ডামারা ও শীলকূপের মধ্যে অবস্থিত বেইলি ব্রিজটি কিন্ত বর্তমানে এ বেইলি ব্রিজ চলাচল অযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি এ ব্রিজের অধিকাংশ পাটাতন খুলে নিয়ে যাচ্ছে লোকজন।
রাতের আঁধারে কোটি টাকা মূল্যের এ ব্রিজটির স্টিলের পাটাতন খুলে নিয়ে গেলেও স্থানীয় জনগণের দাবি এ ব্রিজের পাটাতনের স্থলে কাঠ বসিয়ে দিলে সাধারণ জনগণের দূরবর্তী স্থান দিয়ে যাতায়াত করতে হতো না।
স্থানীয় জাকের আহমদ বলেন, “এক সময় এ এলাকার জনগণের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এ বেইলি ব্রিজটি কিন্ত পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে জনগণ আর চলাচল করতে পারে না। তাই অনেক দূরবর্তী সড়ক হয়ে দু’পাশের জনগণকে যাতায়াত করতে হয়। অথচ এ ব্রিজের উপর সামান্য কাঠ বসিয়ে দিলেও সাধারণ জনগণ দূরবর্তী পথ দিয়ে যাতায়াতের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেত।”
এ ব্যাপারে গণ্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লেয়াকত আলী বলেন, “ব্রিজের পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জনগণ কষ্ট করে এ ব্রিজ দিয়ে পারাপার না করে পাশের আরেকটি পাকা ব্রিজ দিয়ে পারাপার করে। যদি এ ব্রিজের পাটাতনের স্থানে কাঠ দিয়ে হলেও সংস্কার করে দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ জনগণের চলাচলে সুবিধা হতো।”
সরকারিভাবে না হলে স্থানীয়ভাবে বিশাল এ ব্রিজটি সংস্কার করা অনেক ব্যয়সাধ্য বলে জানান তিনি।