চকরিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১৫ হাজার ৬০৫ পিস ইয়াবাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত তিন দিনে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও পৃথক অভিযানে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে তারা।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের শহীদ আবদুল হামিদ বাস টার্মিনাল থেকে ৯ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন ছকিনা বেগম (৩৫)। তিনি কক্সবাজার লিঙ্ক রোডের হাইম্যারঘোনার মৃত শামশুল আলমের স্ত্রী। চকরিয়া থানার এসআই মাঈন উদ্দিন তালুকদার বলেন, কক্সবাজার শহর থেকে বাসে উঠেছিলেন ওই নারী। পৌরশহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় নামলে তাকে আটক করা হয়। তার হেফাজতে পাওয়া উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৮ লাখ টাকা। চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হয়েছে। ওই নারীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, গত মঙ্গল ও সোমবার পৃথক অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজনের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান, মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া ফুটখালী ব্রিজ এলাকায় ২ হাজার ৮শ পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন টেকনাফের বড়ইতলী এলাকার আলী আকবরের স্ত্রী জোহরা বেগম (৪৮) এবং তার ছেলে মো. রাসেল (২০)।
এর আগে একইস্থানে গ্রেপ্তার হন কুমিল্লার বড়ুরা মুকুন্দপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র বেলাল হোসেন (২৮) ও পেকুয়া উপজেলার শারমিন আক্তার (২০)। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার করে মোট ২ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। একই দিন শেখেরখীল রাস্তার মাথা এলাকা থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হন আব্দুল করিমের পুত্র শহিদুল ইসলাম (৪২)।
বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কালাইয়ার হাট এলাকায় ১ হাজার ৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন মো. হানিফ (৪০)। তিনি কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের মৃত হাকিম আলীর পুত্র। একইসময় সাইফুল ইসলাম নামে পরোয়ানাভুক্ত অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের চম্পা তালুকদার পাড়ার ইদ্রিস তালুকদারের পুত্র। বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আব্দুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।