দীর্ঘদিন পর আবার উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ চলছে এখন। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে এই তিন উপজেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করেছে। এদিকে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যারা ভোটার হয়েছেন এরকম ৮৮ হাজার ৯৯০জন ভোটারের স্মার্ট কার্ডও বিতরণ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে গতকাল জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮১২জন, বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৩ জন এবং সাতকানিয়া উপজেলায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলায় ২০০৮ সালের ভোটারদের স্মার্ট কার্ড ২০১৮ সালে বিতরণ করা হয়েছে। এখন ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। আনোয়ারায় ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড এসেছে ৭ হাজার ৯৩১ জন ভোটারের। অপরদিকে হাটহাজারীতে ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড এসেছে ২১ হাজার ৭৯৪ জন ভোটারের। পুরো নগরীকে ৬টি জোনে বিভক্ত করে নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ১৫ হাজার ৬২৫জন ভোটারের, চান্দাগাঁও থানা এলাকায় ১৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটারের, কোতোয়ালী থানা এলাকায় ৯ হাজার ২৯৬ জন ভোটারের, ডবলমুরিং থানা এলাকায় ১৬ হাজার ৮৬৭ জন ভোটারের. পাহাড়তলি থানা এলাকায় ১১ হাজার ৬৬৫জন ভোটারের এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৭ হাজার ৭৪৪ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে।
স্মার্ট কার্ডে ব্যক্তির নাম (বাংলা ও ইংরেজি), মা-বাবার নাম, জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন নম্বর দৃশ্যমান থাকছে। কার্ডের পেছনে থাকছে ব্যক্তির ভোটার এলাকার ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ ও জন্মস্থান। তবে সব মিলিয়ে স্মার্ট কার্ডের মধ্যে থাকা চিপ বা তথ্যভান্ডারে ৩১ ধরনের তথ্য থাকছে, যা মেশিনে পাঠযোগ্য হবে।
২২ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই স্মার্ট কার্ড কাজে লাগবে। আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদন, বিমা স্কিমে অংশগ্রহণ, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার শনাক্তকরণ, ব্যাংকঋণ, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোগ, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা, ই-টিকিটিং, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউরড ওয়েব লগে ইন করার ক্ষেত্রে এটি কাজে লাগবে।