‘জীবন প্রকৃতি ও প্রজন্মের বেঁচে থাকার স্বার্থে পাহাড়কে রক্ষা করতে হবে। কঙাবাজারে রোহিঙ্গারা যে হারে পাহাড় নিধন করেছে, তাতে করে পরিবেশের ভারসাম্য কতটুকু রক্ষা হবে তা নিয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে হালদা সভাকক্ষে আয়োজিত ‘পাহাড় কর্তন : সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেসের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন চবির ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেসের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের পরিচালক ইশরাত রেজা, সিডিএর প্রধান পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, জমির উদ্দিন, মিয়া মাহমুদুল হক, সেলিনা আকতার, চট্টগ্রাম সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মোহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম নামে একটা বিষয় আছে। পরিবেশ নষ্ট বা পরিবেশের ক্ষতি করাও অপরাধ। পাহাড় কাটা, নদী-খাল দূষণ করা, পরিবেশ-প্রকৃতিকে বিরক্ত ও বিনষ্ট করা- অন্য সব অপরাধের মতো এসবও বড় অপরাধ। তাই আমাদেরকে এনভায়রনমেন্টাল ক্রাইম নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।












