চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান বলেছেন, বন্যপ্রাণী বলতে আমরা বুঝি, যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষের ওপর নির্ভরশীল নয়। যারা প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের রক্ষা করতে জানে। তবে তারা যে শুধু বনে-জঙ্গলে বাস করবে এমনটি নয়। আমাদের বসতবাড়ি ও পরিবেশের সাথেই তাদের বসবাস। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর আবাস্থল সংরক্ষণ অতীব জরুরি। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।। ‘মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে : বন ও জীবিকা’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী এ দিবস পালিত হয়েছে। এসময় সকাল সাড়ে ছয়টায় রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে সাতটায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ওয়াইল্ড রেস, বন্যপ্রাণী চেনা প্রতিযোগিতা ও বন্যপ্রাণী পাজল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় জীববিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আরশাদ চৌধুরী ও নুসরাত জাহান নোভার সঞ্চালনায় ও বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন্যপ্রাণী গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড-২০১২ প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান। একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যানে তিনি বলেন, চবিতে ১৭ প্রজাতির ব্যাঙ, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২১৫ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ীর সন্ধান পাওয়া যায়। এমনকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ২০টির বেশি প্রজাতির পাখি আমাদের এখানে রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া, ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কো ইনভেস্টিগেটর ও চমেকের অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। অনুষ্ঠানে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতাসমূহে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি করা হয়।












