মেজর (অব.) সিনহা হত্যা ইস্যুতে কক্সবাজার থেকে একযোগে সব পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়। তবে সবাই বদলি হলেও অদৃশ্য কারণে রয়ে গেছেন একজন। তিনি হলেন কক্সবাজার শহরে নারীর বসতবাড়িতে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী। কক্সবাজারেই রয়ে যান তিনি। কিন্তু কী করে তিনি রয়ে গেলেন তা নিয়ে বিস্মিত পুলিশ সদস্যরাও।
সোমবার বিকালে শহরের সমিতিপাড়ায় এক নারীর বসতবাড়িতে ঢুকে তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকীসহ তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, জেলা পুলিশ চমৎকার সমন্বয় ও চেইন অব কমান্ডের সাথে কাজ করে যাচ্ছিল। নুর-ই খোদা সিদ্দিকী নামের এই ‘পুরান পাপী’ কেমন করে রয়ে গেলেন জানলাম না। জঘন্য মানুষটা আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিল।
তিনি জানান, এসআই নুর-ই খোদা সিদ্দিকী ইতোপূর্বে চকরিয়া থানায় এবং তার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবিতে ছিলেন। ওখানেও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ আয়ে প্রভাবশালীদের বশে আনতেন তিনি। এদের কাজে লাগিয়ে ভালো ভালো পোস্টিংও বাগিয়ে নিতেন। কিন্তু যেখানেই যেতেন দুর্নামের ‘বোঝা’ নিয়ে ফিরে আসতেন। সিদ্দিকী কয়েকদিন আগে চকরিয়া থানা থেকে বদলি হয়ে কক্সবাজার শহর ফাঁড়িতে যোগ দেন। চকরিয়া থানায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। তবে পুলিশির হয়রানির ভয়ে ভুক্তভোগীরা আগে অভিযোগ দেয়ার সাহস পায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন হয়রানির শিকার লোকজন।