থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সেনা ঘাঁটির কাছে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাজাকে ওই ঘাঁটিতে থাকা সেনাবাহিনীর ইউনিটের প্রত্যক্ষ কর্তৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদকারীরা গতকাল রোববার মিছিল নিয়ে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা সেনাবাহিনীর যে ইউনিটগুলোর কর্তৃত্ব রাজার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন ব্যাংককের ১ম পদাতিক রেজিমেন্ট সেগুলোর একটি। পুলিশ শিপিং কন্টেইনার রেখে ও কাঁটাতার দিয়ে ঘাঁটিটির প্রবেশমুখে অবরোধ বসিয়েছিল। এখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তাদের দিকে বোতল ছুড়ে মারে বিক্ষোভকারীরা।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথের পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডের তরুণদের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা রাজতন্ত্রের সংস্কার চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান নিষেধের সংস্কৃতি ভেঙে ফেলেন। প্রতিবাদকারীরা মিয়ানমারের অভ্যুত্থান বিরোধীদের প্রতিও সমর্থন জানান। থাইল্যান্ডের তরুণ আন্দোলনকারী নেতা চুকিয়াত সাংওং রয়টার্সকে বলেন, গত সপ্তাহের প্রথমদিকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন কর্মকর্তাকে থাইল্যান্ডে স্বাগত জানিয়েছেন প্রায়ুথ, তাতেই বোঝা যাচ্ছে তিনি সেখানকার একনায়ককে সমর্থন দিচ্ছেন। মিয়ানমারের লোকজন এটি ভালোভাবে নেয়নি, তাই তারা এখানে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
থাইল্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজার সমালোচনা করা বেআইনি। দেশটিতে রাজার সার্বভৌম ক্ষমতার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপমানজক কিছু করলে বা বললে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে রাজপ্রাসাদ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।