মহামারীর কারণে উত্তর কোরিয়ায় বন্ধ গণপরিবহন, নেই ট্রেন। বিপাকে পড়া রাশিয়ার একদল কূটনীতিক ও তাদের পরিবার তাই রেললাইনের উপর দিয়ে ট্রলি ঠেলে এক কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
কূটনীতিকদের ওই দলে শিশুরাও ছিল বলে জানায় বিবিসি। আট জনের দলটি মালপত্র নিয়ে রেললাইনে উপর দিয়ে ট্রলি ঠেলে রাশিয়া সীমান্তে পৌঁছানোর আগে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে টানা ৩২ ঘণ্টা ট্রেনে এবং দুই ঘণ্টা বাসে ভ্রমণ করেছেন। খবর বিডিনিউজের।
কোভিড-১৯ মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় গণপরিবহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। উত্তর কোরিয়া সরকারের দাবি, সেখানে কেউ এই মহামারীতে আক্রান্ত হননি। যদিও তাদের দাবি নিয়ে নানা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। গত বছর শুরুর দিকে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস যখন বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখনই প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়া সরকার তার দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন এবং মালগাড়ি প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ আছে। যে কারণে রুশ কূটনীতিকদের হাতে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা খোলা ছিল না। ফেসবুকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক পোস্টে বলা হয়, যেহেতু এক বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্ত এবং গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে, তাই রুশ কূটনীতিকদের বাড়িতে ফিরতে দীর্ঘ এবং কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে ফেসবুকে কূটনীতিকদের সেই যাত্রার কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে কূটনীতিকদের দলটি বড় বড় স্যুটকেস বোঝাই ট্রলি ঠেলে চলছেন। গত এক বছরে অনেক বিদেশি কূটনীতিক পিয়ংইয়ং ছেড়েছেন। পশ্চিমা দূতাবাসও বন্ধ হয়ে গেছে। কূটনীতিকদের বেশিরভাগই চীন সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়া ছেড়েছেন। তাছাড়া, গত বছর মার্চে একটি ফ্লাইট বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক যায়। সেটিতে রাশিয়া ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রুমানিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং মিশরের কূটনীতিকরা ছিলেন।