চসিককে স্বনির্ভর করতে আয়বর্ধক প্রকল্পের পরামর্শ মোশাররফের

মেয়র রেজাউলের সাথে সাক্ষাৎ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) স্বনির্ভর করার জন্য আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করতে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া নগর ভবন নির্মাণ কাজও নিজস্ব উদ্যোগে করার পরামর্শ দেন তিনি। গতকাল দুপুরে রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এসময় নতুন মেয়রকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। প্রায় ১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন সেখানে। এসময় নগরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলাপ করেন তারা। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চান মেয়রের কাছে। এ সময় মেয়র আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে অবগত করেন। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনার কথা জানান।
মেয়র বলেন, প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কাজ আউটসোর্সিংয়ে দেয়া যায় কিনা দেখবো। যদি সুফল মিলে তবে ধারাবাহিকভাবে সবগুলো ওয়ার্ডকে দিয়ে দেয়া হবে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ঢাকায় আবাসনের বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান। এ সময় নিম্ন আয়ের ও শহরের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে কমমূল্যে কোনো আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বলেন মেয়রকে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দেশে কেউ আইন মানতে চায় না। তাই সমস্যা থেকে যায়। হকার মার্কেট আছে, কিন্তু ওখানে যারা ব্যবসা করছে তারা হকার না। সুউচ্চ ভবন নির্মিত হয়েছে, কিন্তু মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। বিল্ডিং কোডের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও আন্তরিক না মনে হয়। যে কোনো ভবন ফুটপাত থেকে ৫ ফুট দূরত্বে নির্মাণের আইন আছে। কিন্ত কেউ মানছে না। যে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা পেতে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করতে হবে নগরবাসীকে। কর না দিলে কর্পোরেশন সেবা দিবে কিভাবে? এ শহর সবার। তাই মিলেমিশে এ নগরকে সুন্দর করতে হবে।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বুঝে শুনে ধীরে সুস্থে পরিকল্পিত উপায়ে এগুতে চাই। কর্পোরেশনের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে খুব একটা ভালো না। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। মেয়র নগর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রাস্তাঘাটের মেরামত কাজকে আরো কিভাবে গতিশীল করা যায় এবং জনসংখ্যার চাপের সাথে ভাসমান হকারদের পুনর্বাসন করে কিভাবে নগরীকে জঞ্জালমুক্ত করে জন চলাচলের উপযোগী করা যায় সে সম্পর্কে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, জসিম উদ্দিন শাহ, নুরুল আনোয়ার বাহার, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্লাস শুরু হলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা
পরবর্তী নিবন্ধনথিপত্র না রেখে দুর্নীতি আড়ালের চেষ্টা