রিফাত আলম রোহান (১৫), সুবায়েত (১৩), মিনহাজুর রহমান (১৪), ফাহিম (১২), মাহিন (১২), শাউন (১৩) এবং নাওয়ার (১৪)। এরা সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামের বাসিন্দা ও বিভিন্ন স্কুলের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা বাড়িতেই ককসিট, বাঁশের কঞ্চি ও রঙিন কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে একুশের প্রথম প্রহরে তাতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। সাত কিশোর জানায়, গত বৃহস্পতিবার তারা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনার গড়ার কাজে লেগে পড়ে। শনিবার বিকেলেই গড়ে ওঠে শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে তারা তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরে বড়রাও তাতে ফুল দেন। রোহান জানায়, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় তারা শহীদ মিনারে যেতে পারছে না। তাই তারা এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাদের কাজ দেখে প্রথমে কেউ উৎসাহ না দিলেও পরে বাড়ির দাদি, নানি, বাবা, মা, চাচি ও বড় ভাইবোনেরা সাহায্য করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ সড়কের পাশেই বাড়ির উঠানে রয়েছে ছোট বড় নানা প্রজাতির গাছ। মাঝে খালি জায়গায় ককসিট, বাঁশের কঞ্চি ও রঙিন কাগজ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। রঙিন কাগজ ও নানা রঙের ফুল দিয়ে প্রতিটি মিনার মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন মাসুম বলেন, এই শিশুদের দেশাত্ববোধ দেখে অভিভূত হয়েছি। মিনারটিতে প্রত্যেকের দেওয়া একেকটি ফুলে মিশে রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা আর অগাধ ভালোবাসা।