করোনা মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হবে। এর আগে ১৭ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে হল। গতকাল সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
অন্যদিকে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে চলতি সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বসেছে সরকার। সেখানে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনলাইনে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে নিয়ে বসে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য। তারা এটি পর্যালোচনা করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা, কখন খুলবে, দ্রুত খোলা যায় কিনা, কী পদ্ধতিতে খোলা হবে। অনেক দিন হয়ে গেছে লেখাপড়া বন্ধ আছে। অন্যান্য দেশে স্কুল কলেজ খোলা আছে ভার্চুয়ালি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা বসে চিন্তা-ভাবনা করেন কীভাবে স্কুল কলেজ খুলে দিতে পারি। তিনি আরও বলেন, গ্রামগঞ্জে দেখা যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা ফ্রিলি মুভ করছে। সেক্ষেত্রে স্কুল….। তবে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন আগে নিশ্চিত করতে হবে। সচিব বলেন, চলতি সপ্তাহে না হলেও আগামী রোববার ও সোমবারে মধ্যে আমরা বসব। আশা করছি ৫/৬ দিনের মধ্যে বসে আলোচনা করতে পারব। বিষয়টি এভাবে বলা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে। এজন্য পরিবেশ পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪১তম বিসিএস পরীক্ষা ঘোষিত সময়েই : এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিসিএস পরীক্ষার তারিখ পেছানোর কথা বললেও ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা ঘোষিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের গতকাল রাতে বলেন, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। পিএসসি ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দিন ১৯ মার্চ ঘোষণা করেছে।
এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ জানানোর পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার তারিখের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তবে পরে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেটি স্পষ্ট করেন।