সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নানা আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনিমিত্তকরণের পর দূতাবাস মিলানায়তনের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আমিরাত সফরে আসা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর সহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এছাড়াও বাংলাদেশী পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ‘শিক্ষায় এবং সমাজে বহুভাষার অন্তর্ভুক্তি সযত্নে লালন করি’ প্রতিপাদ্যে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও শ্রম সচিব লুৎফর নাহার নাজিমের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাস উপ-প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, দূতাবাস কাউন্সিলর রিয়াজুল হক, শ্রম সচিব লুৎফর নাহার।
এসময় বক্তব্য রাখেন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসাইন বাবুল, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসাইন, অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসান, বিমান-এর আরএম এন সি বড়ুয়া, জনতা ব্যাংকের সিইও আমিরুল হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ সভাপতি শওকত আকবর, সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার, এসকে আলাউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার আশীষ বড়ুয়া, মোহাম্মদ আইয়ুব প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব দিয়ে জীবন ও জীবিকার তাগিদে অন্য ভাষাও শিখতে হবে। বিশ্বের নানা দেশের ভাষা রপ্ত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়।
পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধুসহ সকল ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ, জাতি এবং প্রবাসীদের কল্যাণে দোয়া করা হয়।