আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। সরকারি ছুটির দিন হিসেবে এ দিনে চট্টগ্রামের কোনো কেন্দ্রে করোনার টিকা দেয়া হবে না। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে সোমবার থেকে যথারীতি টিকাদান চলবে।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে একদিন (শুক্রবার) ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিন করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও এ টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরইমধ্যে চট্টগ্রামে করোনার টিকা গ্রহীতার সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহানগর ও উপজেলা মিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৪২ জন মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। যা টিকা গ্রহণে আগ্রহী মোট নিবন্ধনকারীর ৬৩ ভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৫১ জন অনলাইনে টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে গতকাল শুক্রবার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
এসএমএস ছাড়া টিকা নয় : রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলেই এখন আর আগের মতো কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ থাকছে না। রেজিস্ট্রেশনের পর নিবন্ধনধারীর মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে টিকাদানের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। এই এসএমএস পাওয়ার পরই নির্ধারিত তারিখে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে। এর আগে টিকা নেয়ার সুযোগ থাকছে না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর, চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা বলছেন- প্রতিটি কেন্দ্রের বিপরীতে দৈনিক টিকা প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সীমার সমান সংখ্যক নিবন্ধনধারীকে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তারা গিয়ে কেন্দ্রে টিকা নেবেন। এর বাইরে টিকা গ্রহণের সুযোগ থাকছে না।
নিবন্ধিত কেন্দ্রেই নিতে হবে টিকা : ভিন্ন কেন্দ্রে টিকাদান এরইমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিবন্ধিত কেন্দ্রেই টিকাদান নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে এসে এমন নির্দেশনা দিয়ে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। অনলাইনে নিবন্ধিত কেন্দ্রের বাইরে ভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিলে পরবর্তীতে টিকা সনদ পেতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই জটিলতা এড়াতে নিবন্ধিত কেন্দ্রেই টিকাদান নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, অনলাইনে যে কেন্দ্রে টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন, এখন থেকে কেবল নিবন্ধিত সে কেন্দ্রেই তিনি টিকা নিতে পারবেন। নিবন্ধনের বাইরে ভিন্ন কোনো কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন না। আর নিবন্ধনের পর টিকাদানের তারিখ উল্লেখ করে নিবন্ধনকারীর মোবাইলে একটি এসএমএস যাবে। এসএমএস-এ উল্লিখিত তারিখে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে তিনি টিকা নেবেন। এসএমএস ছাড়া এখন আর কাউকে টিকা দেয়া হবে না। জনসাধারণকে এসব নির্দেশনা মেনেই টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও চসিক করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কমিটির সদস্য সচিব ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।











